December 23, 2024, 3:59 am
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও রয়েছে প্রাকৃতিক পন্থা।
রক্তের এক ধরনের চর্বির উপাদান হচ্ছে কোলেস্টেরল। যা বিভিন্ন ভাবে শরীরে কাজে লাগে। যেমন- কোষের দেয়ালের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখা হরমোনের উৎপাদন, পিত্ত রস তৈরি ইত্যাদি।
চিকিৎসা বিজ্ঞান কোলেস্টেরলকে দুভাগে ভাগ করেছে। একটা হল লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা এলডিএল যা খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে চিহ্নিত। আরেকটি হল হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা এইডিএল যা ভালো কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত।
এইচডিএল বরং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
স্থূলতা, বয়স, বংশ এবং স্যাচুরেইটেড ও ট্র্যান্স ফ্যাট যুক্ত খাবারের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। যা ধমনীতে বাধা সৃষ্টি করে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ধারা পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রকৃতিতে কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্যবহার করে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ঘরোয়া পন্থায় কোলেস্টেরল কমানোর কয়েকটি পদ্ধতি এখানে দেওয়া হল।
হলুদ: হলুদ ধমনীর দেয়ালের জমে থাকা প্লাক অথবা কোলেস্টেরল কমায়। তরকারী বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানীয়তে হলুদ যোগ করুন। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ গলুদ গুলে পান করা সবেচেয়ে ভালো উপায়।
রসুন: এতে আছে উচ্চ মাত্রায় ‘অ্যালিসিন’ নামক সালফার সমৃদ্ধ যৌগ যা কোলেস্টেরল কমায়। সকালে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত কয়েক কোষ রসুন চিবিয়ে খান। কাঁচা-রসুন, রান্না করা রসুনের চেয়ে ভালো কাজ করে।
তিসির বীজ: তিসির বীজে আছে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্টেরল এমনকি ট্রাইগ্লিসারাইডস’য়ের মাত্রা কমায়।
মাছের তেল: ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস। নিয়মিত ম্যাকারেল, স্যামন, লাক ট্রোট, সার্ডিন এবং হালিবুট খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। যদি নিরামিষ ভোজী হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন ১০০ মি.গ্রা. মাছের তেলের ট্যাবলেট খান।
ধনিয়া: উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে নানান ভিটামিন যেমন- ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, এ এবং বেটা ক্যারোটিন থাকে।
এক টেবিল-চামচ ধনিয়া দুই মিনিট পানিতে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে পান করুন। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আমলকী: আমলকী অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাজা আমলকী অথবা এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল-চামচ শুকনো আমলকীর গুঁড়া মিশিয়ে পানীয় তৈরি করে প্রতিদিন পান করুন।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খুব ভালো কাজ করে। এক টেবিল-চামচ ভিনিগার এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন, ভালো ফলাফল পাবেন।